লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পরিচালনা কমিটির নির্বাচন ঘিরে দেশিও অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে স্কুলে ঢুকে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই সহকারি শিক্ষকসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। এক স্কুল শিক্ষকসহ ২ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার(৬ আগস্ট) দুপুরে স্কুল চলাকালিন সময়ে উপজেলার দক্ষিণ জাওরানী আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় ওই এলাকায় ফের সংঘর্ষের আশংকায় আতংক বিরাজ করছে।
আহতরা হলেন, ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আশরাফুল(৪৫), শিউলী রানী(৩৫) শহিদুল ইসলাম (৩২), শাহীন মিয়া (২৫) জসিম হোসেন(৩০), আব্দুল খালেক(৪৫)। এদের মধ্যে স্কুল শিক্ষক আশরাফুল(৪০) ও আব্দুল খালেককে (৪৪)কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহদের হাতীবান্ধার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষক ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সকল পদে আগামী ২৬ আগস্ট ভোট গ্রহনের জন্য যথা নিয়মে তফসলী ঘোষণা করা হয়। ৩ দিনের মধ্যে মনোননয়নপত্র গ্রহন ও জমাদানের ঘোষণা অনুযায়ী আজ সোমবার ছিল প্রথম দিন। সোমবার দুপুরের দিকে দেশিও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢুকে মনোনয়নপত্র তাদের বাইরে বিক্রি করতে নিষেধ করেন স্থানীয় নুরুল হক সরকার, তার ছেলে আব্দুস সালাম শাহীনসহ সহযোগিরা। এসময় বর্তমান সভাপতি পদে থাকা দুলাল মিয়াকে মনোনয়পত্র দিতে গিয়ে রামদা দিয়ে প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে কোপাতে যায় শাহীন। কিন্তু ওই রাম দায়ের কোপ লাগে প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে বাচাঁতে এগিয়ে স্কুলের সহকারি শিক্ষক আশরাফুলের মাথায় কোপ লাগে। এতে করে রক্তাক্ত অবস্থায় কক্ষের মেঝেতে পড়ে যায় আশরাফুল হক। এসময় অন্যান্য শিক্ষককরা এগিয়ে তাদের মধ্যে শিউলী রানীসহ কয়েকজনকে মারধর করে ভাংচুর চালানো হয়।
এদিকে বিদ্যালয়ে হামলা ভাংচুর শেষে ফেরার পথে বিদ্যালয়ের মাঠে হামলাকারীদের সাথে স্থানীয় কয়েক জনের সংঘর্ষ বাধেঁ। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘নুরুল হক ও তার ছেলে শাহীন লোকজন নিয়ে আমার কক্ষে ঢুকে হামলা করে। এতে আমি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পাই। কিন্তু আমার ২ শিক্ষকসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। কক্ষে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করে মনোনয়নপত্র বিক্রির টাকাসহ ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। এনিয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে উল্লেখ করেন।
ওই স্কুলের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা হাতীবান্ধা উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওখানে মনোনয়পত্র বিক্রির প্রথম দিনই মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি”।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম স বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। একন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি।